পর্যায়ক্রমে দেশে চলছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। যদিও বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি, তবুও ভোটারদের মঝে ভোটের আমেজ ছিল চোখে পড়ার মত। এই নির্বাচনে ছিল না দলীয় কোন প্রতীক। নির্বাচন আনন্দমুখর এবং সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন করতে আয়োজকদের আন্তরিকতার কোন কমতি ছিল না। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে রায়পুর উপজেলায় ভোটারদের মাঝে তেমন কোন শঙ্কা ছিল না।
রায়পুর উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯ টি, ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫৯৩ টি, মোট ভোটার সংখ্যা ২,৬৪৮৬৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১,২৭,৫০২ জন, নারি ভোটার সংখ্যা ১,১৯,৩৬৬ জন।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকেল ৪ টায় শেষ হয়। বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী কোথাও কোন ধরনের সহিংসতার সংবাদ পাওয়া যায়নি। রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাস্টার এবং অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। অধ্যক্ষ মামুনুর রাশিদ আনারস প্রতীকে ভোট পান ৩৬,৫৩৬ ভোট এবং অপর প্রার্থী হুন্ড প্রতীক ভোট পান ৩৩,৮০৮ ভোট। ২,৭২৮ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ.বি.এম বারাকাত বিন জাকারিয়া এবং মোঃ আনোয়ার হোসেন। বারাকাত বিন জাকারিয়া টিউবওয়েল মার্কায় পান ৪৭,৫৪৬ ভোট, মোঃ আনোয়ার হোসেন তালা মার্কায় পান ২০,৭১১ ভোট, বারাকাত বিন জাকারিয়া তার প্রতিদ্বন্ধি থেকে ২৬,৮৩৫ ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত রায়পুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মাজেদা বেগম, কহিনুর বেগম, হাছিনা আক্তার। মাজেদা বেগম প্রজাপতি প্রতীক পান ১৫,০৮১ ভোট, কহিনুর বেগম পান ১৯,৯৪১ ভোট, হাছিনা আক্তার পান ৩১,৯০৯ ভোট। হাছিনা আক্তার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি কহিনুর বেগেম থেকে ১১,৯৬৮ ভোট বেশি পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে রায়পুর উপজেলায় প্রদত্ত ভোটের হার ২৯.৪২% ।