লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর বাজার অবস্থানগত কারনে একটি গুরত্বপূর্ন শহর। পৌরসভার এই বাজারের সড়ক তুলনামূলক প্রসস্ত হয়নি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাজারের আয়তন দোকান পাট ব্যবসা বানিজ্য শপিং কমপ্লেলক্স। শপিংকমপ্লেক্স সুপার মার্কেট কোথাও নেই মার্কেটের পার্কিং ব্যবস্থা, যার কারনের মার্কেটের সামনে সড়কেইর পাশেই পার্কিং করতে হয় বাজারে আগত ক্রেতা সাধারনকে। যার কারনে সড়কে জনসাধারনের চলাচল বিঘ্নিত হয় সৃস্টি হয় যানজট।
রায়পুর বাজারে রয়েছ আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ টি ব্যাংক এবং অনেকগুলো বীমা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে আগতদের জন্য নেই সুনির্দিষ্ট কোন পার্কিং ব্যবস্থা যার ফলে সড়কের পাশেই পার্কিং করতে হয়।
নেই জনসাধারনের নিরাপদ চলাচলের জন্য ফুটপাত। বেড়েছে যানবাহন তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানজট। এরি সাথে সড়কের দুপাশ দখল করে নিয়েছে কিছু ভ্রাম্যমান দোকান ব্যবসায়। যার কারনে রায়পুর শহরের যানজট তীব্রত পরিস্থিতি ধারন করছে।
প্রশাসন বিভিন্ন সময় এসব অবৈধ দোকান কিংবা স্থাপনা উচ্ছেদ করলে ও একটু পরই দখল হয়ে যায় ফুটপাত। পুরো বাজারে শতাধিক ভ্যান সড়কের পাশে অবস্থান করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এদের কয়েকজন জানান তারা বাজারে খাজনা দিয়ে ভ্যানে করে পন্য বিক্রি করেন ব্যবসা পরিচালনা করেন।
রায়পুরে যানজট মুক্ত রাখার জন্য পৌরকতৃপক্ষ দিনের বেলায় বাজারে ট্রাক প্রবেশ মালামাল ট্রাকে লোডআনলোড নিষিদ্ধ থাকলেও প্রভাশালী কিছু ব্যবসায়ী বিধিনিষধের তোয়াক্কা না করেই বাজারে ট্রাকপ্রবেশ করে সড়কের পাশে রেখে মালামাল লোডআনলোড করে যার কারনে পুরো বাজারে দীর্ঘ যানজট হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়ক, রায়পুর-মধ্যবাজার সড়ক ও রায়পুর-ফরিদগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসটার্মিনাল থেকে শুরু করে পৌর সভা কার্যালয়ের সড়কের উপর ও দু’পাশে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, ফলের বাজার ও বিভিন্ন ফলের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানসহ প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ব্যবসা করেছে। প্রায় সকল ব্যবসায়ীরা সড়কের ওপর রাখছে বিভিন্ন ঝুড়ি, ফুলের ডালা, মাছের খাড়ি ও ভ্যানসহ মৌসমি ফলেল দোকান। আর দু’পাশে দোকানপাট ভাড়া দিয়ে সংশি¬ষ্টরা প্রতিদিন অবৈধভাবে টোল আদায় করছে।
ব্যস্থতম এই সড়কে ক্রেতা-বিক্রেতারা দাড়িয়ে ক্রয়-বিক্রি করছে বিভিন্ন পণ্য। গাড়ী আসলে অনেক সময় অসাবধনতাবসত তাড়াহুড়ো করে কেউ কেউ সরতেও পারেন না। যার ফলে ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। এত বিপদজনক হওয়া সত্যেও এসব দোকানের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে প্রশাসনের স্থায়ী নজরদারির অভাবে।
রায়পুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু সাঈদ জুটন বলেন, আঞ্চলিক এ মহাসড়কে যেভাবে বিভিন্ন দোকানিদের অবৈধ দখলে চলছে তাতে বাস চলাচল না করলে বোঝার উপায় নেই যে, এখানে মহাসড়ক রয়েছে। প্রতি বছর-বছর পৌরসভার টেন্ডারের মাধ্যমে প্রভাবশালীরা ইজারা নিয়ে তাদের লোকদের দিয়ে চাঁদা তুলছেন। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে বাজারগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এখানে অনিয়মটাই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসব ব্যবসায়ীরা বলেন কাঁচাবাজার ও ফল ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করলে প্রশাসনকে বিপাকে পড়তে হবে।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, শহরের সিএনপির লাইনম্যান নাছির নামের এক ব্যক্তি প্রতিদিন আমারদের কাছ থেকে ১’শ টাকা করে চাঁদা নিয়ে আমার এ মহা সড়কে বসতে দিচ্ছে। তাই সড়কে বসে ব্যবসা করছি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, সড়কের উভয় পাশে গড়ে ওঠা সবগুলো দোকানই অবৈধ। এগুলো আমাদের একা পক্ষে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। থানা পুলিশ বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ করেছে। তাদের স্থায়ী ভাবে উচ্ছেদ না করায় সকালে উচ্ছেদ করলে বিকেলে ফের দখল হয়ে যায়। আমি নিজেও অনেকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোন সু-ফল হয়নি।