September 13, 2024, 11:12 am
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। যোগাযোগ ০১৭৭৯০৫৫১১১

ঘুর্ণিঝড়ের ২৩ দিনেও সহযোগিতা পায়নি হোসেন

প্রদীপ কুমার রায়

প্রদীপ কুমার রায়:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঘুর্ণিঝড় রেমালে বসতঘরে বড় একটি রেইনট্রি গাছ ভেঙে পড়লে বাস্তুহারা হয়ে যায় হোসেন দেওয়ানের পরিবার। গত ২৭ মে (সোমবার) উপজেলার উত্তর চরবংশীর বেড়িবাঁধের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন গাছ পড়ে ঘর ভেঙে গেলেও আহত হননি কেউ। ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন হোসেন। ঘর ভাঙার করুণ দৃশ্যের ছবিও প্রকাশিত হয় কয়েকটি পত্রিকায়। হোসেন বলেন, ঘটনার তিনদিন পর আমি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলায় আবেদন করেছি। শুনেছি সম্প্রতি টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। আমি কিছুই পাইনি। কোনো প্রকার খাদ্য সহায়তাও দেয়নি।

জানা যায়, গত শনিবার (১৫ জুন) স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে প্রায় ৩০ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। তবে ঘুর্ণিঝড়ে সর্বাধিক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হোসেন দেওয়ান ও তার পরিবার সেদিনও পায়নি কোনো সহায়তা। আবেদনের প্রায় ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও সেটি কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে তাও জানেনা পরিবারটি।

মশার কামড়ে রাত পার হয় তাদের। ঘুম হয়না একেবারেই। ঈদুল আজহার দিনটিও কেটেছে ভাঙা ঘরে। জুটেনি এক টুকরো মাংস। খাদ্য ও বাসস্থানের মৌলিক অধিকার যেন ধরাশায়ী হোসেন দেওয়ানের নির্মম গৃহস্থ জীবনের কাছে।

সন্তান সমেত এই কষ্টের সাগর থেকে কে তাকে তুলে দিবেন শান্তি ও স্বস্তির সাগর তীরে ঠাঁই সেটিও জানেন না হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন।

হোসেনের প্রতিবেশী আবদুল জলিল বলেন, তাদের পরিবারটি গত তিন সপ্তাহ যাবত মানবেতর জীবনযাপন করছে। চাল নেই, চুলো নেই- সবকিছুই ভাঙা।

তার নিকট আত্মীয় মজুফা খাতুন বলেন, সরকারি সাহায্য কারা পায় আমরা কিছুই জানি না। হোসেনের ঘর ভাঙছে মেলা দিন হইছে। ঘরের উপরের গাছটাও আজ পর্যন্ত সরাতে পারেনি। বন বিভাগের স্যারেরা কিছু বলে না। কেউ সাহায্যও করে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা