September 13, 2024, 12:40 pm
নোটিশ :
সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। যোগাযোগ ০১৭৭৯০৫৫১১১

মানবসেবায় সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রায়পুরের সঞ্জয়

প্রদীপ কুমার রায়

প্রদীপ কুমার রায়, বিশেষ প্রতিনিধি: হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও মুসলিমদের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের সঞ্জয় সাহা অভি নামের এক হিন্দু যুবক। সে মা-মনি স্পেশালাইড হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক।সম্প্রতিক অব্যহত অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে শুকনো খাবার, নগদ অর্থ, অসুধসহ যখন যা পারছেন তা প্রতিনিয়ত নিয়েই হাজির হচ্ছেন অসহায় মানুষের পাশে। নিজ হাতে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে সাহায্য পৌঁছে দিয়ে সবার নজর কেড়েছে সে। তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সচেতন মানুষের মুখে মুখে।

গত পাঁচদিনে জেলায় অতিবৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ে রায়পুর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা। চুলো জ্বালিয়ে খাবার রান্না করতে পারেনি প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। পরিস্থিতি বিবেচনায় কে কোন ধর্মের সেদিকে না তাকিয়ে গত বুধবার থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সঞ্জয় সাহা অভি। মানবিক কাজের অংশ হিসেবে খোদ রায়পুরেই বিলিয়েছেন অগণিত উপহারের প্যাকেট। চিঁড়া, মুড়ি,চানাচুর,মোম, টোস্ট বিস্কুট, কাঁচা বাদাম, মশার কয়েল, খাওয়ার স্যালাইন, নাফা ট্যাবলেট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট উপহার পেয়ে বাসাবাড়ি এলাকার রহিমা আক্তার (৩৮) বলেন, অন্যের বাসায় কাজ করতাম। ঘর ডুবে গিয়েছে বন্যায়। ঘরে খাওয়ার কিছুই ছিলো না। চুলোও এক বুক পানিতে। অভি দাদাভাই উপহার পাঠিয়েছেন। আমি উপকৃত হয়েছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আত্ম মানবতার সেবায় বন্যাকালীন সময়ে স্ব পরিচালিত হাসপাতালে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছেন সঞ্চয়। তিনি বলেন, কে কোন ধর্মের জাতীয় দূর্যোগের সময় তা দেখার বিষয় না। আমরা সবাই আগে মানুষ। যে কোন অসহায় গরীব মানুষকে আমার হাসপাতাল সাধ্যমতো সেবাদানে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা আছে। সাধ্যমতো কিছু খাদ্য সামগ্রীও উপহার দিচ্ছি মানুষকে। কোনো মুসলিম নয়, কোনো হিন্দু নয়- আমি বিপদে পড়া মানুষদের খুঁজে বের করে পাশে দাড়াচ্ছি।

অভির সম্প্রীতির স্বাক্ষর ও ধর্ম বর্ণের উর্ধ্বের মনোভাব দেখে মতামত ব্যক্ত করে স্থানীয় সাংবাদিক নেতা এম আর সুমন বলেন, রীতিমতো অবাক হয়েছি। তিনি যে সেবামূলক কাজ করছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটিই মূলত অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা