খেজুরের রস ঐতিহ্যবাহি একটি রসনা বিলাস আজকাল যেনো সপ্নের বিলাসের মতোই। চাইলেই পাওয় দায়। একসময় গ্রামীণ অঞ্চলে শীতের সকালই শুরু হতো খেজুর রসের সুশ্বাধু নাস্তা দিয়ে। আজ তা যেনো ভাবনার ও বাহিরে। দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হত গাছির খেজুর গাছ প্রক্রিয়া করন যার মাধ্যমে গাছে একটি হাঁড়ি (ঠিল্লা) খেজুর গাছে লাগানো হতো, রাতে এবং কুয়াশা ঘন সকালে গাছ থেকে হাঁড়ি নামিয়ে গাছি কিংবা রস সংগ্রাহক কাঁধের দুপাশে ১০ থেকে ১৫ টি করে রস ভরা হাঁড়ি বহন করে রস নিয়ে বাড়ি যেত। এই রস চাকুনি করে মাটির চুলোয় গরম করে মিঠাই কিংবা খেজুরের গুড় তৈরী করা হত এবং এর থেকে পাটালি মিঠাই ও তৈরী করে বাজারজাত করত। এতে করে অনেকেরই বাড়তি আয় হত। প্রতিটা আঞ্চলিক বাজারে খেজুর গুড়ের বাজার বসত এসব বাজারে গুড় বিক্রি করত খেজুর রস সংগ্রাহকরা। বাড়তি আয়ে ভুলে যেত গাছি তার সারাদিনের রস সংগ্রহের ক্লান্তি।
একসময় খেজুর রসের সহজলভ্যতা ছিল আজকাল কেজি দরে বিক্রি হয় খেজুরের রস, তবুও যেনো খেজুরের রস পাওয়া দুস্কর। বর্তমানে খেজুরের রসের নাস্তা শিন্নি খেতে ১ সপ্তাহ আগে গাছিকে বলে রাখতে হয়।
কালক্রমে ঐতিহ্য বাহি খেজুর গাছ বিলিন হওয়ার পথে!কমে আসছে খেজুরের রসের পরিমান। হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো ঐতিহ্য। ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এখনই উদ্যোগ গ্রহন করা জরুরী। শীতকালিন একটি রসনা। শীতের সকালে খেজুরের রসের নাস্তা না হলে চলতই না এক সময়। কৃষকদের ও কেন যেন খেজুর গছের প্রতি যত্ন পরিচর্জা নেই বল্লেই চলে। কৃষি অধিদপ্তরের ও নেই কোন উদ্যোগ। খেজুর গাছের পরিমান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন প্রেশনা। কৃষকরা যেন অধিক পরিমানে খেজুরের চারা রোপন করেন সে বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এই বিষয়টি সম্ভবত কৃষির অধিনেই পড়ে। তাই কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগ গ্রহন করা প্রয়োজন। আশা করি কৃষি অধিদপ্তর এ বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা নিবেন।